ঈদের কেনাকাটা শেষ করেই সবাই ছোটেন বিউটি পার্লার বা সেলুনে। উদ্দেশ্য চুলে পছন্দের কাট দেয়ার জন্য। চেহারার সঙ্গে চুলের কাট মিলতে দশ বারো দিন সময় লাগে। তাই মেয়েদের পাশাপাশি এরই মধ্যে ছেলেরাও ভিড় জমাচ্ছেন পার্লার আর সেলুনগুলোতে। কারণ ছেলেদের সৌন্দর্যের মধ্যে অন্যতম চুল।
ঈদে চুলের ছাঁট নিয়েও তাই নিরীক্ষা করতে দেখা যায় তরুণদের। সামনে যেহেতু ফুটবল বিশ্বকাপ, তাই অনেকেই ঈদে চুলের ছাঁটে খেলোয়াড়দের স্টাইল অনুকরণ করবেন। তাই ঈদে চুলের ছাঁটে আপনি বেছে নিবেন কোন স্টাইল—
আন্ডার কাট :
এই স্টাইলে মাথার পাশের পেছনের চুল ক্লিপার দিয়ে একেবারে ছোট করে ফেলা হয়। এমনকি কিছুক্ষেত্রে ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে ফেলা হয়। মাথার ওপরভাগের চুল তুলনামূলকভাবে বেশ বড় রাখা হয়। ফলে ওপরের চুলে বিভিন্ন স্টাইল করা সম্ভব হয়। কেউ সেই চুল পেছনের দিকে আঁচড়ে ‘কম্ব-ওভার’ করেন, কেউ পাশেসিঁথি করেন আবার মেসি স্টাইলে এলোমেলো করে রাখেন অনেকে। কপালের ওপরে পোম্পাডোর স্টাইলে ফুলিয়েও রাখা যায়।
পোম্পাডোর :
এই স্টাইল করার সময় আন্ডার কাটের মতোই মাথার পাশের চুল একেবারে ছোট রেখে ওপরের চুল বেশ বড় রাখা হয়। এভাবে কপালের ওপরের চুল ক্রমান্বয়ে আরো বড় হতে থাকে। যার ফলে কপালের ওপরের চুল চূড়ার মতো দেখা যায়।
ডিসকানেকটেড পোম্পাডোর স্টাইলে সিঁথি করা হয় ক্ষুর দিয়ে।
ডিসকানেকটেড পোম্পাডোর :
পোম্পাডোর স্টাইলে চুল কাটানোর পরে মাথার দুপাশে অথবা একপাশে ক্ষুর দিয়ে সিঁথি আকার চল দেখা যায়। এই ধরনকে বলে ডিসকানেকটেড পোম্পাডোর।
মোহাক :
মোহাক স্টাইলটি অনেক রকমভাবেই করা হয়। এর মধ্যে ‘মোহাক ফেড’ বেশ জনপ্রিয়। মোহাক স্টাইলে মাথার পাশের চুল ক্লিপার দিয়ে স্কিন ফেড করে কাটা হয়। আর মাথার ওপরের চুলগুলো শক্ত ও শুকনা জেল দিয়ে স্পাইকের মতো খাড়া করে রাখা হয়।
ফেড কাট :
এখন বেশি দেখা যাচ্ছে চুল ছোট করতে। মাথার দুই পাশের চুল ক্লিপার দিয়ে কান পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ছোট করে নিচ্ছেন। এটাকে বলে ‘ফেড কাট’। তবে সব ফেড কাট একই রকম নয়। চুলের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে এর বৈচিত্র্য। যেন লো ফেড, হাই ফেড, ট্যাপার ফেড ইত্যাদি।
ঈদের জন্য চুলের কিছু কৌশল :
এই ঈদে আপনি কোন হেয়ার স্টাইলটি নেবেন, সেটি আগে থেকেই ভেবে রাখুন।
চুল কাটানোর আগে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান, বয়স এবং চুলের ধরনের দিকে খেয়াল রেখে মানানসই কাট দিতে হবে।
এখন আবহাওয়া যেহেতু কিছুটা গরম, তাই ছোট ও মাঝারি হেয়ার স্টাইলেই থাকা বেশী ভালো।